উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩/১০/২০২৩ ৮:০৭ এএম

রেখে আসা আত্মীয়-স্বজনদের দেখতে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ৬৭২ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। রোববার সকালে ‘গো অ্যান্ড সি’ (যাওয়া এবং দেখা) প্রকল্পের আওতায় তাদের ১৫-২০ দিনের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে। এটি প্রতি মাসের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ। বর্ষা মৌসুমে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় কয়েক মাস এ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হেমন্ত, শীত ও বসন্তকালে নদী ও সাগর শান্ত থাকায় ‘গো অ্যান্ড সি’ চালু থাকবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ভাসানচরের ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহফুজার রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উখিয়া ক্যাম্পে রেখে আসা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা ও ভাসানচরের অনুকূল পরিবেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে তাদের উখিয়ায় পাঠানো হয়েছে। ১৫-২০ দিন পর তারা আবার ফিরে আসবেন। তারা আসার পর আরেকটি দল পাঠানো হবে।

মাহফুজার রহমান বলেন, স্থানীয় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসন ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে রোববার ভোর সোয়া ৬টার দিকে তারা ভাসানচর থেকে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজে রওনা হন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে পৌঁছায়। এরপর ১৩টি বাস ও একটি কাভার্ডভ্যানে তাদের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, ৬৭২ জন রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ রোববার সকালে ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...